জামালপুর দর্পণঃ
জামালপুর সদর উপজেলার ১ নং কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে বুধবার (৩ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নারীর প্রতি ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল“প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি, সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি।”
এছাড়া ১৬ দিনব্যাপী নারী সহিংসতা প্রতিরোধ কর্মসূচির প্রতিপাদ্য ছিল “আসুন ঐক্যবদ্ধ হই: নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি ডিজিটাল সহিংসতা বন্ধ করি।”
অনুষ্ঠানে নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, উৎপাদক দলের সদস্য, ইমাম, শিক্ষক, ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে র্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত পাঠ করেন হাফেজ মো. রহুল আমীন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রোকোনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, জামালপুর সদর, মোঃ খোরশেদ আলম, নির্বাহী পরিচালক, সূর্য তোরণ সমাজসেবা সংস্থা ও গণমাধ্যমকর্মী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোঃ মিজানুর রহমান, প্যানেল চেয়ারম্যান, কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদ। সঞ্চালনায় ছিলেন মাসুদ রানা, কমিউনিটি ফেসিলিটেটর, জেসমিন প্রকল্প, কেন্দুয়া।
এছাড়া বক্তব্য প্রদান করেন, সূজিত চিসিম, সাব-ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর, জেসমিন প্রকল্প, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, মোঃ কওনান মুরসালিন, কমিউনিকেশন ও অ্যাডভোকেসি স্পেশালিস্ট মোঃ শফিকুর রহমান, জেন্ডার স্পেশালিস্ট মোছাঃ সাদেকা বেগম, Gender DRR & CC Officer।
বক্তারা বলেন, নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে সমাজের প্রতিটি মানুষকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার, অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হলে সবার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সহায়তায় ও ANCP–এর অর্থায়নে, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও উন্নয়ন সংঘ বাস্তবায়িত “জেন্ডার ইনক্লুসিভ মার্কেট সিস্টেমস ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন (GESMIN)” প্রকল্পের আওতায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, জেসমিন প্রকল্প ২০২৩ সাল থেকে জামালপুর সদর, মেলান্দহ, ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এটি পূর্ববর্তী এনএসভিসি প্রকল্পের (২০১৮–২০২৩) বর্ধিত অংশ।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ডিজিটাল সহিংসতামুক্ত ও প্রতিবন্ধিতা-অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের আহ্বানে অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

0 $type={blogger}:
Post a Comment