শেরপুরে বোনের অর্থ আত্মসাৎ; ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা




শেরপুর প্রতিনিধিঃ


শেরপুরে জমি বিক্রি করে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়ে পরে জমি লিখে না দিয়ে প্রতারণা করা হয়।  ১৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলে সহোদর ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের (সি.আর মামলা নং- ০৯/২০২৫, ওয়ারেন্ট স্মারক নং-২০৩) করেছেন শেরপুর সদর উপজেলার কসবা কাচারী পাড়া এলাকার ইয়ানুছ আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম। 



অভিযুক্ত ওই ভাইয়ের নাম মোঃ সহিদুর রহমান তিনি বর্তমানে মিরপুর জাতীয় উদ্যানে কর্মরত আছেন। মোঃ সহিদুর রহমান সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের ধোপাঘাট এলাকার শামসুল হকের পুত্র। ইতিমধ্যে আদালত অভিযুক্তের নামে গ্রেফতারী পরওয়ানা (স্মারক নং-২০৩) জারি করেছে। 



মামলা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার কসবা কাচারীপাড়া মহল্লার বাসিন্দা ইয়ানুছ আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম স্বীয় ভ্রাতা মো. সহিদুর রহমানের কাছ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা মূল্য ধার্য করে ৭০.৭৫ শতাংশ জমি ক্রয় করার জন্য মূল্য পরিশোধ করে এবং সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দলিল করার জন্য বিগত ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর শেরপুর সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল সম্পন্ন করার সময় সেখান থেকে জমির মূল্য বাবদ পরিশোধকৃত টাকা নিয়ে সহিদুর রহমান সটকে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে।



পরে ভূক্তভোগী রহিমা বেগম জমি দলিল করার জন্য তার ভাই মোঃ সহিদুরকে চাপ দিলে একপর্যায়ে সহিদুর ১৭ লক্ষ টাকা ও জমি দলিলের বিষয়টি অস্বীকার করে। 




এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী রহিমা বেগম বলেন, আমার ভাই মোঃ সহিদুর রহমান ৭০.৭৫ শতাংশ জমি আমার কাছে বিক্রি বাবদ নগদ ১৭ লক্ষ টাকা বুঝে নিয়ে আমাকে জমি লিখে দেয়নি। পরে আমি টাকা ফেরত চাইলে আমাকে উল্টো অকথ্য গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়।




এছাড়াও আমার নামে, স্বামী ও ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে  আমি তার বিচার চাই। 




রহিমা বেগম এর স্বামী ইয়ানুছ আলী জানান, মোঃ সহিদুর রহমান আমার শ্যালক সে আমার স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে ১৭ লক্ষ টাকা নেয়। সে তখন তার ছেলে মেজবাউল ইসলামকে ১ একর পৌনে ২৩ শতাংশ জমি লিখে দেওয়ার কথা ছিল এবং সাথে আমাদের ৭০.৭৫ শতাংশ জমি দেওয়ার কথা থাকলেও সেদিন সহিদর তার স্ত্রী মাতাবা সুলতানা সাথীর পরামর্শে দলিল সম্পাদনা করে সে সাক্ষর দেয়। কিন্তু শেষ মূহুর্তে সাব রেজিস্ট্রার এর সামনে উপস্থিত না হয়ে চলে যায়। যার সকল কাগজ পত্র ও প্রমাণাদি আমাদের কাছে আছে। সে একজন ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামি আমি দ্রুত তার গ্রেফতার চাই এবং আমার কষ্টের জমানো ১৭ লক্ষ টাকা ফেরত চাই। 




এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সহিদুর রহমানের সাথে ৪ মে রোববার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে জমি বিক্রির কথা বলে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। 

Share on Google Plus

About সাদ্দাম হোসেন

0 $type={blogger}:

Post a Comment