ইসলামপুরে অবৈধ বালু-মাটি উত্তোলন; ঝুঁকিতে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি



আলমাস হোসেন আওয়ালঃ

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন চলছে। এর ফলে নদীতীর, বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ রুহুল আমিন, কোরবান আলীসহ একটি প্রভাবশালী চক্র প্রশাসনের নীরবতার সুযোগে এক্সকাভেটর (ভেকু) ব্যবহার করে এসব উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে।


চিনাডুলী ইউনিয়নের বলিয়াদহ আগারী ব্রিজের দুই পাশের খাল এলাকা এবং নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া গ্রামীণ ব্যাংকের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের যমুনা নদীর পাইলিং অংশ থেকেও একইভাবে গভীর গর্ত করে বালু ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে এসব বালু-মাটি বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়।


স্থানীয়দের সঙ্গে কথা ও সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর ঘাটে ভেকু বসিয়ে দিন-রাত অন্তত ১০-১২টি ট্রাক্টরে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। এতে নদীতীর ভাঙনের পাশাপাশি পাশের উর্বর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গভীর গর্ত তৈরি হওয়ায় প্রতিদিনই নতুন জমি ও বসতবাড়ি ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।


অন্যদিকে বালুবোঝাই ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে কাঁচা-পাকা রাস্তা মারাত্মকভাবে নষ্ট হয়ে পড়ছে। ধুলাবালির কারণে বাড়িঘরে থাকা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে এসব যানবাহনের গতিরোধহীন চলাচল স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করেছে।


স্থানীয়রা জানান, অবৈধ ভাবে বালু-মাটি উত্তোলনের প্রতিবাদ জানাতে গেলে অভিযুক্তরা উল্টো হুমকি-ধমকি দেয়। এতে ভয় ও আতঙ্কে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পান না।


এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে বালু-মাটি উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে নদীতীর, কৃষিজমি ও স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। 

তারা আরও বলেন, চাষাবাদের জন্য পুষ্টি গুণ সম্পন্ন মূল টপ সয়েল কেটে নেওয়ায় জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।


এদিকে এলাকাবাসীর পক্ষে সাদা মিয়া বিষয়টি উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। 


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

Share on Google Plus

About সাদ্দাম হোসেন

0 $type={blogger}:

Post a Comment