মতিন রহমানঃ
জামালপুরের বকশীগঞ্জে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবকের নাম জিয়াউল (৩৫), তিনি উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কুতুবেরচর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। অন্তঃসত্ত্বা স্কুল শিক্ষার্থী ওই এলাকার একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত অক্টোবর মাসে ছাত্রীটি অসুস্থতা অনুভব করলে তার মামীর নজরে আসে। মামী তাকে বিশ্রাম ও চিকিৎসা নিতে বলেন। পরে পরিবার বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নেওয়ার একপর্যায়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে জানতে পারেন সে প্রায় দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে জানাজানি হলে, অভিযুক্ত জিয়াউল (৩৫) বিয়ে করবে বলে 'তালবাহানা' শুরু করে।
অন্তঃসত্ত্বা ওই স্কুল শিক্ষার্থী (১৪) জানায়, প্রায় এক বছর ধরে দক্ষিণ কুতুবেরচর এলাকার জয়নাল আবেদীনের পুত্র জিয়াউল (৩৫)-এর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তাদের দেখা হতো। এছাড়াও মাঝে মধ্যে মেয়েটির বাড়িতে কেউ না থাকলে ফাঁকা ঘরে আসতো জিয়াউল।
মেয়েটির বাবা-মা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে এই সুযোগে জিয়াউল বাড়িতে এসে তার সাথে শারীরিক মিলন করে। পরবর্তীতে যখন মেয়েটি শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়, সে জিয়াউলকে বিষয়টি জানায়। তখন জিয়াউল হুমকি দিয়ে বলে যে, এটা এমনিতেই সমাধান হবে এবং এর আগে এ বিষয়ে যেন কাউকে না বলে। যদি কাউকে বলে তাহলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে।
মেয়েটির বাবা-মা জানান, তারা গরিব, অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ইজ্জতের ভয় এবং সুষ্ঠু বিচার না পাওয়ার শঙ্কায় তারা বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে, ততই মেয়েটির শারীরিক অসুস্থতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা সাংবাদিকদের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ অভিযোগ সম্পর্কে জানতে জিয়াউল এর মোবাইলে ফোন করা হলে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহাম্মেদ বলেন, "এই বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 $type={blogger}:
Post a Comment