ইসলামপুরে ঘূর্ণিঝড় তান্ডবে মানবিক জীবন যাপন করছে সাপধরী বাসিন্দারা



রোকনুজ্জামান সবুজঃ


জামালপুরের ইসলামপুরে ঘূর্ণিঝড়ে তান্ডবে মানবিক জীবন যাপন করছে সাপধরী ইউনিয়নে বাসিন্দারা। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ঘূর্ণিঝড় যেন এক ভিন্ন রুপ দেখিয়েছে চরাঞ্চলের মানুষকে। ঘূর্ণিঝড় কেটে গেলেও ঝড়ের ক্ষত চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত বিছিন্ন সাপধরী  চরে বাসিন্দারা। কারও বসতঘর নেই,এক বেলা খাবার খাওয়ার পরিস্থিতিও নেই অনেকের।



সরেজমিনে গিয়ে ঝড়ের চিত্রে দেখা যায,কাশারীডোবা, প্রজাপতি,আমতলী,উওর জোড়ডোবা,ফকিরপাড়া, কোদাল ধোঁয়া,চরশিশুয়া,চেঙ্গানিয়া,ইন্দুল্লামারি ও জোড়ডোবা, কটাপুর, নামাপাড়া গ্রাম গুলো ঘূর্ণিঝড়ে তা-বে বিধ্বস্ত হওয়া বাড়িঘর মেরামত করতে পারেননি অনেকে। ফিরে আসতে পারেননি স্বাভাবিক জীবনে।সব মিলিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরবর্তী মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছে বিধ্বস্ত চরে এলাকার বাসিন্দারা। 



চরের বাসিন্দা শামসুল হক,ছাহেরা বেগম,ধন মাহমুদ, জবেদা বেগম ও হাফিজুর রহমান শেখ আরো অনেকেই বলেন, এ বারের ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে আমাদের একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাঁই ভেঙে যায়। এখন পরিবারের সদস্য নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নীচে।



সাপধরী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, গত শনিবার (১৭ মে) দিবাগত রাত একটার দিকে সাপধরী ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি,মসজিদ,মাদ্রাসা,স্কুলসহ গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 



এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম মন্ডল জানান, সাপধরী ইউনিয়নে ১৫টি এলাকায় প্রায় ৭শ পরিবার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসনের থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান।

Share on Google Plus

About সাদ্দাম হোসেন

0 $type={blogger}:

Post a Comment